উদ্দিপকের আলােকে শান্তর ভিন্ন ধরণের অনুভূতি হওয়ার কারন বিশ্লেষণ কর
উদ্দিপকের আলােকে শান্তর ভিন্ন ধরণের অনুভূতি হওয়ার কারন বিশ্লেষণ কর
Share
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
প্রশ্নঃ উদ্দিপকের আলােকে শান্তর ভিন্ন ধরণের অনুভূতি হওয়ার কারন বিশ্লেষণ কর?
উত্তরঃ উদ্দিপকে শান্ত তিন মাস আগেও একটি শার্ট পরে স্কুলে যেত কারন তখন ছিল মূলত গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকালে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি থাকে। তাই স্বাভাবিক ভাবে ঠান্ডা লাগেনা। এই সময়ে হালকা সুতি কাপড় পরা যায়। সুতি বা লিনেন রেয়ন জাতীয় তন্তুর পোষাক খুব বেশি মাত্রায় তাপ ধরে রাখতে পারেনা কারন এগুলো ভাল তাপ কুপরিবাহক নয়। এই কারনে গ্রীষ্মকালে শান্ত একটি শার্ট পরলে দেহের তাপ বা উষ্ণতা সহজে শার্ট ভেদ করে বাইরে চলে যেত ফলে অতিরিক্ত গরম লাগতনা। কিন্তু যখন ডিসেম্বর মাস আসলো তখন আবহাওয়া ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেল। গ্রীষ্মকাল চলে যেয়ে শীত কাল আসলো। আমাদের দেশে ডিসেম্বর থেকে শীত শুরু হয়ে জানুয়ারী ফেব্রুয়ারী পুরা শীতকাল থাকে এবং হাড় কাপানো শীত অনুভূত হয়। ফলে এই শীতের পরিবেশে শান্ত লিনেনের শার্টে খুবই শীত অনুভব করলো। তাই সে শীত থেকে রক্ষা পেতে আরও একটি শার্ট গায়ে দিয়ে নিল। কিন্তু সেই শার্টটিও একই লিনেন বা রেয়ন তন্তু হওয়ায় এই দুই পোষাক দেহের তাপ দেহে ধরে রাখতে পারল না। উপরন্তু বাইরের শীতল তাপমাত্রা শার্ট ভেদ করে দেহে প্রবেশ করার ফলে শান্ত সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শীতল অনুভূতি অনুভব করলো। আসলে অধিকাংশ তন্তু সেলুলোজ বা লিনেন বা রেয়ন থেকে তৈরি হয়। যা যথেষ্ট তাপ কুপরিবাহক নয়। এগুলোতে সাধারন বায়ু কুঠরী তুলার নায় আশে ভরা থাকেনা, এই সুতা গুলো হয় মসৃন তাই সহজে এই সুতার কাপড় ভেদ করে তাপ চলে যেতে পারে। একারনে গ্রীষ্ম ছেড়ে শীতকাল চলে আসলে একই পোষাকে শীত অনুভব হবে। এই শীতকালে তাই রেশম বা পশম জাতীয় পোষাকই কেবল তাপ ধরে রেখে দেহ উষ্ণ রাখতে সামর্থ্য হয়