জনাব নকীব স্বীয় উদ্যোগে যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকার কতিপয় বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করেন। অন্যদিকে তাঁর এক বন্ধু নাবিল তাঁর এ কাজগুলােতে অংশ না নিয়ে বরং বলেন, নকীব সাহেব নেতা হওয়ার জন্য এসব করছেন।
গ. নকীব সাহেবের মাঝে ইসলামের কোন সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইসলামের দৃষ্টিতে কায়েসের দৃষ্টিভঙ্গি কীসের পরিচায়ক? আলােকপাত কর
গ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
নকীব সাহেবের মাঝে ইসলামের মানব সেবার বিষয় গুলো প্রকাশ পেয়েছে। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো–
ইসলাম মানবিকতার ধর্ম । এটি মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। মানবসেবা বিষয়ে ইসলামের জোর দেওয়া হয়েছে। যে কাজ সামাজিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ তা মানব সেবার অন্তর্ভুক্ত ।অর্থাৎ , মানুষের কল্যাণে যে কাজ তাই মানব সেবা।
উদ্দীপকে,
নকীব স্বীয় উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকার কতিপয় বন্ধু নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করেন। এ থেকে বোঝা যায় তিনি সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন করতেছে। এ থেকে সাধারণ মানুষ অনেক লাভবান হবে, তাই বলা যায়, জনাব নকীবের কাজটি মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত।
ঘ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
ইসলামের দৃষ্টিতে নাবিলের দৃষ্টিভঙ্গি ঘৃণার পরিচায়ক। ঘৃণা অর্থ অবজ্ঞা, অপছন্দ, উপেক্ষা, তাচ্ছিল্য, তুচ্ছ জ্ঞান করা। কাউকে তুচ্ছ মনে করে তাকে সহ্য করতে না পারা এবং তার থেকে দূরে সরে থাকাকেই পরিভাষায় ঘৃণা বলে।অনেক ক্ষেত্রে ঘৃণা একটি মহা গুরুতর ব্যাধি। এতে বন্ধুত্বের মধ্যে ফাটল ধরে। সমাজে অশান্তির সৃষ্টি হয়। কখনো মনে শান্তি লাভ করতে পারে না। এতে তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক ক্ষতি সাধিত হয়। মহানবী (স.) বলেন, “পূর্ববর্তী উম্মতের দুটি রোগ তোমাদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে, হিংসা এবং ঘৃণা।” (বায়হাকি) রাসূলুল্লাহ (স.) আরো বলেন, “তোমরা একে অপরকে হিংসা করো না, একে অপরকে ঘৃণা করো না, একে অন্যের ক্ষতি করার জন্য কৌশল করো না বরং তোমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে যাও” (বুখারী ও মুসলিম)। ঘৃণা বা তাচ্ছিল্য শয়তানের বৈশিষ্ট্য। শয়তান হযরত আদম (আ.)-এর প্রতি তাচ্ছিল্য করার কারণেই অভিশপ্ত হয়েছে। উদ্দীপকের নাবিল তার বন্ধু নকীবের সাথে সমাজসেবায় অংশ না নিয়ে বরং তিনি জনাব নকীবকে ঘৃণা করেছেন। রকিবের কাজটি খুবই জঘন্য। তার উচিত ছিল নাবিলের কাজের প্রশংসা করা