সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন: ১
(ক) ফসলের মৌসুম বলতে কি বুঝ?
(খ) রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের পার্থক্য কী?
(গ) মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলাে কী কী?
(ঘ) মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি কেনাে গুরুত্বপূর্ণ?
২। নির্ধারিত কাজ: কাঠাল গাছ সম্পর্কে নিচের ছকটি পূরণ করা।
পর্যবেক্ষণের বিষয় | গাছের বৈশিষ্ঠ্য |
ক. কী ধরনের উদ্ভিদ
খ. কাণ্ডের বৈশিষ্ঠ্য। গ. বীজের বর্ণ ঘ. ফুলের বর্ণ ঙ. কোথায় কোথায় চাষ হয়। চ. কেমন মাটিতে চাষ হয় |
ক.
খ. গ. ঘ. ঙ. চ. |
প্রশ্নঃ (ক) ফসলের মৌসুম বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ
একটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে তার শারীরিক বৃদ্ধি ও ফুল-ফল উৎপাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ঐ ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাৎ কোন ফসলের বীজ বপন থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত সময়কে সে ফসলের মৌসুম বলে
প্রশ্নঃ (খ) রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের পার্থক্য কী?
উত্তরঃ
রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে কিছু পার্থক্য:-
রবি মৌসুম
১. আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে।
২. রবি মৌসুমের প্রথম দিকে কিছু বৃষ্টিপাত হয় তবে তা কম।
৩. রবিমৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আদ্রতা কম থাকে।
খরিপ মৌসুম
১. চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ মৌসুম বলে।
২. খরিপ মৌসুমে বিশেষ করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
৩. খরিপ মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আদ্রতা বেশি থাকে
প্রশ্নঃ (গ) মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলাে কী কী?
উত্তরঃ
মুরগি পালনে, মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যতম প্রধান বিষয়। বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝরা শস্য, পােকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই এরা পরিমিত সুষম খাবার পায় না। তাই মুরগির পরিমিত সুষম খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টি উপাদানগুলাের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১. শর্করা : শর্করা মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি পুষ্টি উপাদান। তাই মুরগিকে শর্করা জাতীয় খাবার ।যেমনঃ গম, ভুট্টা, চালের খুদ, চালের কুড়া, গমের ভুষি ইত্যাদি খাওয়ানাে প্রয়ােজন।
২. পানিঃ মুরগি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করে। তাই মুরগির খামারে পানীয় ব্যবস্থা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশুদ্ধ পানি মুরগিকে খাওয়াতে হবে।
৩. আমিষঃ মুরগির পর্যাপ্ত শর্করা খাবারের পাশাপাশি আমিষ জাতীয় খাবার যেমনঃ সয়াবিন মিল, তিলের খৈল, সরিষার খৈল, শুটকি মাছের গুড়া প্রভৃতি খাওয়াতে হবে।
৪. ভিটামিন : ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও শাকসবজি মুরগির দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুরগিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
৫.খনিজ: খনিজ লবণ মুরগির দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুরগিকে খনিজজাতিয় খাবার যেমনঃ খাদ্য লবণ, হাড়ের গুড়া, ঝিনুক ও শামুকের গুড়া খাওয়াতে হবে।
মুরগি পালনে মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয়। তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমানে পানি পান করে। তাই মুরগি খামারে খাদ্য ও পানি দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ (ঘ) মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি কেনাে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ
মুরগির খাদ্য উপাদানে পর্যাপ্ত পরিমান শর্করা, আমিষ, খনিজ লবণ, স্নেহ ও ভিটামিন জাতীয় খাবার থাকা প্রয়ােজন। সুষম খাবারে মুরগির দেহের প্রয়ােজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলাে উপস্থিত থাকে।বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝরা শস্য, পােকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই এরা পরিমিত সুষম খাবার পায় না। যার ফলে মুরগি থেকে প্রত্যাশিত ডিম ও মাংস পাওয়া যাবে না। বাচ্চা মুরগি দৈনিক ১০ থেকে ১৫ গ্রাম এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগি প্রায় ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম খাদ্য খেয়ে থাকে।
তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমানে পানি পান করে থাকে। তাই খামারে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ থাকতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগিকে দৈনিক ২০০ মিলিলিটার বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়।তাই মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি গুরুত্বপূর্ণ।
২। নির্ধারিত কাজ: কাঠাল গাছ সম্পর্কে নিচের ছকটি পূরণ করা
উত্তরঃ দেখতে এখানে ক্লিক করুন