সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যে সব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলাে সাজিয়ে লিখ
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যে সব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলাে সাজিয়ে লিখ
Share
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের পুরোধা; তিনি আমাদের বাঙ্গালী জাতির পিতা;
রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণ দিয়েছিলেন। এই ভাষণ ৭ ই মার্চের ভাষণ হিসেবে বিখ্যাত।
১৮ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি বাঙালির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানান।
লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দুধের কামান-বন্দুক মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্ঠে ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলো লেখা হলো-
সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা-
যেকোনো মানুষের কাছে বিস্ময়কর মনে হবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরের মধ্যে কোন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ এর ডিসেম্বরে।
সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের জাতীয় পরিষদে ১৬৯ টি আসনের ১৬৭ টি লাভ করে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ছিল ৩০০ আসন বিশিষ্ট পশ্চিম পাকিস্তানের ৮৩ আসন পেয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
ওই নির্বাচন ছিল বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার প্রতি জনগণের রায়।
৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমেই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করেন। দেশের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
নিজ ভূমিকা ও অবস্থান ব্যাখ্যা –
স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক আন্দোলনে তরুণ বাঙালি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জানুয়ারি শেখ মুজিব গঠন করলেন ছাত্রলীগ নামের এক অপরাজেয় ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয় আওয়ামী লীগ। কারাগারে বন্দি ২৯ বছরের শেখ মুজিবকে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর যত সময় গেছে, শেখ মুজিব হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের প্রাণ। ভাষা আন্দোলনের সুকঠিন সময় কারাগারে বন্দী শেখ মুজিবই ছিলেন নেতাকর্মীদের প্রাণপুরুষ ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প-বাণিজ্য শ্রমনীতি দমন ও ভিলেজ-এইড দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করলেও বাঙালি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৫৭ সালে মন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেন শেখ মুজিব।
এছাড়াও অন্যান্য যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো-
পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিকদের ভূমিকার উপর আলোকপাত, সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহ্বান, অত্যাচার ও সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলার হুমকি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব-পাকিস্তানে সার্বিক হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং নিগ্রহ ও আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান। সামরিক আইন মার্শাল-ল’ উইথড্র করার কথা বলেছিলেন। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নেয়ার জন্য জোর দাবি করেছিলেন। তিনি তার বক্তৃতায় যুক্তি দিয়েছিলেন- মনে রাখবেন শত্রুবাহিনী ঢুকেছে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতরাজ করবে। এই বাংলায়- হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়। অনুপ্রেরণা যোগাতে তিনি বলেছিলেন- সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” আজও আমাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে বাধ্য করে
৮ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর দেখতে
→ এখানে ক্লিক করুন
৮ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর দেখতে
→ এখানে ক্লিক করুন