৮ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে কোনাে ১০টি উল্লেখযােগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পােস্টার তৈরি কর?
সংকেত:
১। সাল উল্লেখ
২। ঘটনার বর্ণনা
৩। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য
উত্তরঃ
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধঃ-
পলাশীর যুদ্ধ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এর মধ্যে সংঘটিত। এ যুদ্ধ আট ঘণ্টার মতাে স্থায়ী ছিল এবং প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতার দরুণ নওয়াব কোম্পানি কর্তৃক পরাজিত হন
১৭৬৫ সালে দ্বৈত শাসনঃ-
১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। মীর জাফরের মৃত্যুর পর লর্ড ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে মােগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলােমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানিলাভ করে
১৭৭০ সালে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরঃ-
১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সময়টি বাংলা ১১৭৬ সাল হওয়ায় এই দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত হয়। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়।
১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তঃ-
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার ভূমি মালিকদের (সকল শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি। এর প্রবক্তা লর্ড কর্নওয়ালিস। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশস্বত্বাধিকারী হন।
১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপনঃ-
বাংলার নবজাগরণের ক্ষেত্রে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত মুদ্রণযন্ত্রের ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন বাংলার মানুষের মনকে মুক্ত করা ও জাগিয়ে তােলার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মােচন করে। এতে বই-পুস্তক ছেপে জ্ঞানচর্চাকে শিক্ষিত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পথ সুগম হয়। এ সময় অনেকে বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশ করে জনমত সৃষ্টিতে এগিয়ে আসেন।
১৮৫৭ সালের ১০ মে’র সিপাহি বিদ্রোহঃ-
সিপাহি বিদ্রোহ বা সৈনিক বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাট শহরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।
১৮৬১ সালে বঙ্গীয় আইনসভাঃ-
বঙ্গীয় আইনসভা (Bengal Legislative Assembly) ভারত শাসন সংক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে সাংবিধানিক সংস্কারের চূড়ান্ত পরিণতি স্বরূপ গঠিত হয়েছিল। ১৮৬১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন পর্যন্ত শাসন সংস্কারের শেষ পর্যায় হিসেবে বঙ্গীয় আইনসভার আত্মপ্রকাশ। ১৯৩৫ সালের আইনে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ভারতের সকল প্রদেশের সাংবিধানিক পরিষদ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া ভােটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে। ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির যাত্রা শুরু
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবরে’র বঙ্গভঙ্গঃ-
উপমহাদেশে ব্রিটিশদেরশাসনতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি উল্লেখযােগ্য ঘটনা বঙ্গভঙ্গ। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থেতৎকালীন বাংলা প্রেসিডেন্সিকে ভেঙ্গে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ নামে দুটি নতুন প্রদেশেবিভক্ত করেন।
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবরে’র বঙ্গভঙ্গঃ-
উপমহাদেশেব্রিটিশদের শাসনতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি উল্লেখযােগ্য ঘটনা বঙ্গভঙ্গ। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থেতৎকালীন বাংলা প্রেসিডেন্সিকে ভেঙ্গে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ নামে দুটি নতুন প্রদেশেবিভক্ত করেন। মূল প্রস্তাবটি ছিল উর্দু ভাষায়। এই সম্মেলনে ফজলুল হককে “শেরে বাংলা” উপাধি দেয়া হয়।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টে’র ভারত বিভাজনঃ-
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারত ভেঙে হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করা হয়।১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের ফলে ব্রিটিশভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ও পাঞ্জাব প্রদেশও দ্বিখণ্ডিত হয়। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভেঙে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য (ভারত) ও পূর্ববাংলা/পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ (পাকিস্তান) গঠিত হয়। পাঞ্জাব প্রদেশ ভেঙে পাঞ্জাব প্রদেশ (পাকিস্তান) ও পাঞ্জাব রাজ্য (ভারত) গঠিত হয়। ভারত বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী, ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস ও অন্যান্য প্রশাসনিক দ্বারা এবং রেলপথ ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সম্পদ দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্ত করে
দেওয়া হয়
৮ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের ইংলিশ অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
Lesson 4: Our ethnic friends(2)
Suppose, you have a foreign friend
who is very curious to know about the
ethnic people of your country.
Now, prepare a fact file on them. You
can tell about their dress, food, culture,
sports and pastimes in 200 words. Use
narratives, images, pictures, tables, or
information as needed.
উত্তরঃ দেখতে এখানে ক্লিক করুন