১। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তুমি সারাদিন বাসায় অবস্থান করছাে। সময় তালিকা প্রণয়ন করে লেখা-পড়া ও অন্যান্য কাজ-কর্ম করা উচিত। তাই এ পরিস্থিতিতে তােমার দৈনন্দিন কাজকর্ম কীভাবে করছাে –
(ক) তােমার সারাদিনের কর্মকান্ডের জন্য একটি সময় তালিকা প্রণয়ন কর।
(খ) সময় তালিকা প্রণয়নের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
(গ) সময় তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তুমি কোন কোন বিষয় বিবেচনা করেছাে?
(ক) তােমার সারাদিনের কর্মকান্ডের জন্য একটি সময় তালিকা প্রণয়ন কর।
উত্তরঃ আমার সারাদিনের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি সময় তালিকা প্রণয়ন করা হলো-
৫:০০ টায় – ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।
৫:২০ টায় – প্রার্থনা করা।
৫:৪০ টায় – হালকা নাস্তা করা।
৬:০০ টায় – শরীরচর্চা করা।
৬:৩০ টায় – পড়তে বসা (গণিত, বিজ্ঞান পড়া )।
৮:৩০ টায় – সকালের নাস্তা করা।
৯:৩০ টায় – ঘরের কাজে সহায়তা করা, ঘর গোছানো।
১০:৩০ টায় – গাছ-গাছড়ার পরিচর্যা করা, গাছে পানি দেয়া।
১১:৩০ টায় – গোসল করা।
১২:০০ টায় – দুপুরের খাবার খাওয়া।
১২:৩০ টায় – রেস্ট নেয়া।
১:০০ টায় – প্রার্থনা করা।
১:৩০ টায় – বিশ্রাম ( ঘুমানো )।
৩:৩০ টায় – পড়তে বসা (ইংরেজি )।
৪:৩০ টায় – প্রার্থনা করা।
৫:০০ টায় – খেলাধুলা করা।
৬:০০ টায় – প্রার্থনা করা।
৬:২০ টায় – হালকা নাস্তা করা।
৬:৩০ টায় – পড়তে বসা ( বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় )।
৮:৩০ টায় – প্রার্থনা করা।
৯:০০ টায় – রাতের খাবার খাওয়া।
৯:৩০ টায় – পড়তে বসা ( বাকি সাবজেক্টগুলো )
১০:৩০ টায় – টেলিভিশন দেখা।
১১:৩০ টায় – ঘুমাতে যাওয়া।
(খ) সময় তালিকা প্রণয়নের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
জীবনকে আরও গতিময় ও প্রানবন্ত করার জন্য সময়তালিকার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনেক। সময় তালিকার মাধ্যমে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কর্ম দিবস ও সময়ে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
করণীয় কাজ সম্পর্কে ধারণা হয়। কোন কাজগুলো বেশি এবং কোন কাজগুলো কম প্রয়োজনীয় সে সম্বন্ধে সঠিক ধারণা লাভ করা যায়।
সময়মতো কাজ করার অভ্যাস গড়ে উঠে। কাজের সময় নির্ধারিত থাকে বলে সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
প্রতিটা কাজে কতটুকু সময় ব্যয় হয় তার ধারণা জন্মে। কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়ে। সময়-তালিকা অনুসরণ করলে সময় মত কাজ শেষ হয়ে যায়। বাড়তি সময়ে বিভিন্ন রকম সৃজনশীল কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
বিশ্রাম, অবসর ও বিনোদন করা সম্ভব হয়। কারণ, সময়-তালিকায় কাজ , বিশ্রাম ও অবসর বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে।
ছোটবেলা থেকেই আমাদের সবারই সময়ের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। সময় মতো সব কাজ করলে কাজ জমে যায় না। ফলে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজেই সম্পন্ন করা যায়।
যেমন- ছাত্রছাত্রীরা যদি প্রতিদিনের পড়ালেখা সময়মত সম্পন্ন করে, তাহলে সে খুব সহজে কৃতকার্য হতে পারবে। আর যে সময় মত পড়ালেখা করে না, পরীক্ষার সময় পড়া তার কাছে বোঝা মনে হবে।
সময় মত পড়ালেখা না করার জন্য তখন এই সমস্যা তৈরি হবে।
তাইতো একটি প্রচলিত বচন আছে যে- “সময়ের এক ফোঁড় , অসময়ের দশ ফোঁড়।”
(গ) সময় তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তুমি কোন কোন বিষয় বিবেচনা করেছাে?
সময় তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমি যে যে বিষয় বিবেচনা করবোঃ
সময় তালিকা করার সময় কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হয় যেমন-
দৈনিক করণীয় কাজ গুলো নির্ধারণ করতে হবে গুরুত্ব অনুসারে কাজের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
যৌথভাবে কাজ করতে হলে অন্যের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সময়-তালিকায় কাজের সময় বিশ্রাম ও অবসর সময় রাখতে হবে।
একটা কঠিন বা ভারী কাজের পর হালকা কাজ বা বিশ্রাম দিতে হবে।
সময় তালিকা নমনীয় হতে হবে যাতে প্রয়োজনে রদবদল করা যায়।